রাজধানীর ভাষানটেক মোড় এলাকায় অযত্ন অবহেলায় উড়ছে জাতীয় পতাকা।
প্রশাসনে যোগাযোগেও মিলছে না নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান -এমনই অভিযোগ উঠেছে শনিবার (২৭ আগষ্ট) বিকেল ৫টা নাগাদ। এ নিয়ে ভাষানটেক এরিয়ায় বসবাসরত অভিক বিশ্বাস নামের একজন প্রত্যক্ষ দর্শী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন-
স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ জাতীয় পতাকাটি কি শুধু আমার একার সম্পত্তি নাকি এটা গোটা জাতির সম্মানের প্রতীক!? আজকে বিকালে ভাষানটেক বাজারে বন্ধু দিপ সাথে বিকাশ থেকে টাকা উঠানোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম।
হঠাৎ নীল আকাশের মাঝে চোখ পড়ে গেল ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজ পতাকার দিকে যা আমাদের বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদার প্রতীক।
কিন্তু পতাকার অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয় যা একজন বাঙালি হিসেবে আমার হৃদয়কে আঘাত করে। আমি আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিতে পারি? ও আমাকে ৯৯৯ এ কল দিতে বললো আমি ৯৯৯ এ তৎক্ষণাৎ কল করি। তাদেরকে বিষয়টি যতটুকু পেরেছি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি, তারা বললেন এটা নাকি তাদের দায়িত্ব নয়, তারা আমাকে কুর্মিটোলা ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার প্রেরণ করলেন। আমি কুর্মিটোলা ফায়ার সার্ভিসের হেলপ নাম্বারে কল করে তাদেরকে বিষয়টি অবগত করলে তারা বললেন এটা তাদের আওতাধীন নয়, মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তাদেরকে কল করার সাথে সাথে প্রথমত তারা বললেন “জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে এতে আমরা কি করব!?
( আমার কাছে কল রেকর্ড রয়েছে ) তাদেরকে আমি একটু রাগান্বিত কন্ঠে বললাম এটা আমাদের বাঙালি জাতির অস্তিত্বের প্রতিক, একজন বাঙ্গালী হিসেবে এর যথাযথ মর্যাদা দেওয়াটা আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব।
তখন তিনি বললেন এটা তাদের দায়িত্ব নয় ৩৩৩ তে কল দিতে। আমি ৩৩৩তে কল দিলাম এবং সেখান থেকেও দুঃখিত বোধক শব্দটি ব্যবহার করে আমাকে নিরাশ করা হলো। পরবর্তীতে আমি আবারও মিরপুর ফায়ার সার্ভিসে কল দেই এবং তারা আমার মোবাইল নম্বর কালেক্ট করে বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের নিকট প্রেরণ করেন।
কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে তারা আসেন এবং আমার উপর মেজাজ দেখিয়ে বলেন এটা নাকি তাদের দায়িত্ব নয় এটা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব এবং তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা সত্ত্বেও ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এখন গোটা জাতির কাছে আমার একটাই প্রশ্ন এখানে জাতীয় পতাকাটা কি আমার ব্যক্তিগত সম্পদ, নাকি তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়?
বিষয়টি অনেকের কাছে সামান্য মনে হলেও আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে, আমি একটানা
২ ঘন্টা যাবত চেষ্টা করেও ব্যর্থতা নিয়ে ফিরে এসেছি।
কিছুক্ষণ পূর্বে আমি সিটি কর্পোরেশনের হেল্প নম্বরে কথা বলেছি।
আগামীকালের মধ্যে এর কোনো বিহিত না হলে আমি সংবাদ মাধ্যমের সহায়তা নিতে বাধ্য হবো।
কিন্তু একজন বাঙ্গালী হিসেবে আজ আমি লজ্জিত এবং মর্মাহত।
পরে প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখ এবং একই সাথে ন্যক্কারজনক।
জানিনা এর সমাধান হবে কি-না তবে স্বাধীনতার প্রতিকের এ অবস্থা খুবই দুঃখজনক এবং যা আমাকে খুবই ব্যাথিত করেছে।