ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাথরুমের লাইনের সাথে পানির টাংকি এডজাস্ট হয়ে পড়ে থাকলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে কলেজ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জানা যায় কলেজের পুরাতন ভবনের পানির লাইনের সাথে বাথরুমের পানির লাইন এডজাস্ট হয়ে আছে বেশ কয়েকদিন যাবৎ।
একাধিক বার এই বিষয়ে কলেজ কতৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন কলেজে কর্মরত কর্মচারীরা কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি কলেজ কতৃপক্ষের। মঙ্গলবার এই বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহসীন কবিরকে ব্যবস্থার গ্রহণের অনুরোধ জানালে উল্টো এক সংবাদ কর্মীর সাথে রেগে যান এবং বলেন এই বিষয়ে সমাধান করতে সময় লাগবে। পরে পানির টাংকি দুর্গন্ধ যুক্ত হয়েছে জানিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রিজার্ভ টাংকির পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় কলেজের মূল ভবনের পিছনে উত্তর দিকের টাংকির পানি পানের উদ্দেশ্যে পরিহার করার জন্য বলা হলো। সাময়িক অসুবিধার জন্য কলেজ প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করছে। পরে ট্যাপের মুখে লাল কাপড় লাগিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সোহরাওয়ার্দী কলেজে সবমিলিয়ে প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে আসছে। এমন কর্মকান্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারাও। এসময় তারা বলেন কলেজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটলেও কলেজ কতৃপক্ষ জানে কিছুদিন পরে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই। আমরা চাই এই বিষয়ে যাতে কলেজ কতৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের সুপ্রিয় পানি পান করার ব্যবস্থা করে দেয়। তা নাহলে শিক্ষার্থী পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এই বিষয়ে আরোও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কলেজে অবস্থানরত কর্মচারীদের ছেলে মেয়েরা ইতোমধ্যে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে। পাশাপাশি তারাও রোগাক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর মুঠোফোনে বলেন, রিজার্ভ ট্যাংকির ব্যাপারে জানার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি কলের ট্যাপে লাল কাপড় বেঁধে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্যে একটি নোটিশও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৯ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্যে একটি মাত্র ট্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সুপেয় পান পানি করবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টই রয়েছে বিশুদ্ধ পানি খাবার ব্যবস্থা। এছাড়াও মসজিদ কিংবা দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতেও রয়েছে পানির ব্যবস্থা। সিঁড়ির পাশে যে খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে সেটা হচ্ছে অতিরিক্তভাবে করে দেওয়া হয়েছে। এর বাহিরেও আমরা আরও দুইটি খাবার পানির ট্যাপের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
পরবর্তী এ বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করতে গেলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, ভাই আমি এই মুহুর্তে ব্যস্ত আছি।