দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে পাঠানো বার্তায় তিনি এমন প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
বার্তায় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং শেখ হাসিনা তার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং সেদেশের বন্ধুত্বপ্রতীম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হতে চাই এবং আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি আমাদের জনগণ ও অর্থনীতির সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে চাই।”
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতি দেওয়ার ইতিহাস কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তী দশকগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেওয়া অব্যাহত সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।”
স্বাধীনতা লাভের পর গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সমৃদ্ধ ও আধুনিক অর্থনীতির একটি দায়িত্বশীল গণতন্ত্র চর্চাকারী দেশ হিসাবে শান্তি গড়ে তোলা এবং তা বজায় রাখতে নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত করার আশাবাদ জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।
“এটা সন্তোষজনক যে, আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান, এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি খাতে সম্পৃক্ততা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে।”
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলাসহ বিনিয়োগ ও পরিষেবা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের অপার সুযোগ রয়েছে বলে বার্তায় জানান প্রধানমন্ত্রী।