আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলে চলতি মৌসুমে লাভবান হচ্ছেন আখ চাষিরা। পাশাপাশি সাথি ফসলেরও ভালো ফলন পাচ্ছেন তারা। এতে আখ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৫০০ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মাত্র ৩৮৮ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৬০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। এ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
গত মৌসুমে জেলায় ৪২২ হেক্টর জমিতে ২০ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়েছিল।
জানা যায়, আখের পাশাপাশি একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে তেল, মসলা ও ডালজাতীয় ফসলগুলো বিনা সেচে শুধু বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে চাষ করা যায়। আখের পাশাপাশি সাথি ফসল চাষ করলে অনেক বেশি লাভজনক হয়।
পেঁয়াজ ও রসুনের পাতায় তীব্র ঝাঁজ থাকায় আখ ক্ষেতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়। জমিতে আগাছাও কম হয়। এতে মূল ফসলের ফলন অনেকাংশে বেড়ে যায়।
৫০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন শহিদুল ইসলাম। এতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছেন। বাকি রয়েছে ২১ শতাংশ জমির আখ। ব্যাপারী এলে বাকি আখ বিক্রি করা হবে।
চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে আখের আবাদ করছি। তবে এবারই প্রথম লাভবান হচ্ছি। এবার ফলন ভালো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার জানান, টাঙ্গাইলে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি ঈশ্বরদী-৪১ ও ঈশ্বরদী-৪২ (বিএসআরআই-৪১ ও ৪২) সহ নতুন কিছু উন্নত জাতের আখ চাষ করা হচ্ছে। গতবছর বন্যায় যেসব চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তারা অনেকেই এবার আখ চাষ করেননি। এ কারণে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় আখের ফলন অনেক ভালো হয়েছে।