ঋণ যেন এখন একেকটি পরিবারের জন্য মরণফাঁদ। এই ঋণের চাপে একসঙ্গে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রামে।
গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে প্রথমে স্ত্রী মারা যান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বামী। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার হালদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম বিথী খাতুন (২৮) এবং স্বামীর নাম ফারুক হোসেন (৩৬)। ফারুক উপজেলার বনপাড়া কালিকাপুর মহল্লার ফল ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে বিথী খাতুন লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়ানের পানঘাটা গ্রামের বাছের উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সকালে হালদারপাড়া ভাড়া বাসায় তারা একসঙ্গে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে কালিকাপুর গুচ্ছগ্রামের বাবার বাড়িতে যায়। সেখানে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
তারা আরো জানান, হাসপাতালে নেয়ার পথে বিথীর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী ফারুককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, ফারুকের দুটি সংসার। সে ছোট স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতেন। ঋণের দায়ে তিনি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। উপায়ন্তর না দেখে তারা একসঙ্গে ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।