সিফাত আল ফাহিম
দু’জনেরই ইচ্ছে ছিলো উচ্চ শিক্ষায় পাড়ি জমাবেন দেশের বাইরে তবে একটি দূর্ঘটনায় স্বপ্নের নির্মম অপমৃত্যু হলো মোসহাব ও রাকিবের।
গত ২৯ জুলাই ট্রেন – মাইক্রোবাস দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান মোসহাব ও রাকিব।
তাদের পরিবারের সাথে কথা বলতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের স্বজনরা।
রাকিবের বাবা শোকাতুর মোতাহের হোসেন খান বলেন- আমার ছেলে অনেক মেধাবী। নানার বাড়িতে মানুষ হয়েছে। ভাই–বোনের মধ্যে সে সবার বড়। এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ–৫ পেয়েছিল। তার চাচা লন্ডন থেকে বলেছে রাকিবকে পাঠিয়ে দিতে। সে ওখানে পড়ালেখা করবে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভর্তির সবকিছু প্রায় শেষপর্যায়ে ছিল। দু’মাস পর চলে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু একবারেই চলে গেলো ছেলেটা।
এদিকে, চাচার বাড়িতে মানুষ হওয়া মোসহাব আহমেদ হিশামের চাচার সাথে কথা বলতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনিও-
বলেন মোসহাব আহমেদ হিশামের মা, ভাই, বোন সবাই কানাডায় থাকেন। আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তার কানাডা চলে যাওয়ার কথা ছিল উদ্যমী তরুণ মোসহাব আহমেদ হিশামের।
শেষ পর্যন্ত মায়ের মুখ টুকু দেখা হলো না হিশামের। রেলওয়ে থানার লাশ হস্তান্তরের সময় হিশামের চাচা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বারবার বলছিলেন,‘ আমার হিশামকে এভাবে কাফনে দেখার আগে আমার কেন মৃত্যু হলো না।’