দীর্ঘ ৩৪ বছর আগে ঘটেছিল হত্যাকাণ্ড। তবে তদন্তকারীরা কোনোভাবেই সেই খুনের রহস্য উন্মোচন করতে পারছিলেন না। ধরতে পারছিলেন না খুনিকে। অবশেষে তিন দশকেরও বেশি সময়ের পর এসে খুনের রহস্যভেদ হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন অপরাধী। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এত বছর পর এসে খুনিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, একটি চিঠি লিখে থুতু দিয়ে খামের মুখ বন্ধ করেছিলেন ওই খুনি। সেখান থেকেই ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে তাঁকে শনাক্ত করা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায়। ১৯৮৮ সালের ২৩ অক্টোবর খুন হন ২৬ বছর বয়সী আন্না ক্যান নামের এক নারী। বিস্তৃত তদন্তের পরও আন্নার খুনির হদিস পাওয়া যায়নি। এত বছর ধরে এ খুনের রহস্যভেদের জন্য অপেক্ষা করেছেন আন্নার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষত তাঁর মেয়ে তামিকা রায়েস। ওই ঘটনার সময় তামিকার বয়স ছিল ৯ বছর।
আন্নার খুনের পর স্থানীয় একটি পত্রিকা খুনির পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে তথ্য চেয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর পত্রিকাটির কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে খুনির সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া ছিল। তবে সেই তথ্য খুনের রহস্যভেদের জন্য যথেষ্ট ছিল না। এরপর সময় গড়িয়েছে, কিন্তু তদন্তে ফলপ্রসূ কিছু বেরিয়ে আসেনি। তবে হাল ছাড়েননি তদন্তকারীরা।
অবশেষে ওই চিঠির সূত্র ধরে তদন্তে সফল হওয়া গেছে। গত সপ্তাহে পেনসিলভানিয়া পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, চিঠি লিখেছিলেন স্কট গ্রিম নামের এক ব্যক্তি। তিনিই আন্নার খুনি। চিঠি লেখার পর স্কট খামের মুখ বন্ধ করেছিলেন থুতু দিয়ে। সেখান থেকে তাঁর ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়েছে। পরে সেটি আন্নার মরদেহে থাকা খুনির ডিএনএর নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গেছে, দুটি নমুনা একই ব্যক্তির।
তবে খুনি হিসেবে স্কটকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও তিনি কেন আন্নাকে খুন করেছিলেন, কেনই–বা পত্রিকায় চিঠি লিখে নিজের সম্পর্কেই তথ্য দিয়েছিলেন, এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। কেননা ২০১৮ সালে ৫৮ বছর বয়সী স্কট মারা গেছেন।