রাজধানীর গুলিস্তানে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে ইরফান আহমেদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বাসচালকের সহকারীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছে নিহত ইরফান আহমেদের পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গুলিস্তানের জয়কালী মন্দিরের কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।বিজ্ঞাপন
পুরান ঢাকার নবাবপুরের একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন ইরফান। তিনি পরিবার নিয়ে ডেমরার শারুলিয়ার বড়ভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন। ইরফানের বাবার নাম আলমগীর হোসেন। ইরফান এক কন্যাসন্তানের জনক।
পরিবার জানায়, ইরফান আজ সকালে ডেমরার শারুলিয়া এলাকা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রীবাহী একটি বাসে ওঠেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, গ্রিন বাংলা নামের বাসটি গুলিস্তানের জয়কালী মন্দিরের কাছে পৌঁছালে ইরফানকে বাস থেকে সড়কে পড়ে যেতে দেখা যায়। পথচারীরা তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কাছের সালাউদ্দিন হাসপাতালে নেন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়। সেখানে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে ইরফানের স্ত্রী ইসমত আরা ও ভাই রায়হান আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এ সময় রায়হান অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বাসচালকের সহকারীর কথা-কাটাকাটি হয় বলে তাঁরা জানতে পারেছেন। এর জের ধরে চালকের সহকারী তাঁর ভাইকে বাসের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেন।
পুলিশ বলছে, ইরফানের মাথার আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও জখম বা আঘাতের চিহ্ন নেই। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন।
ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তাঁরা শুনেছেন, বাসচালকের সহকারীর সঙ্গে ইরফানের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তাঁর মাথার পেছন দিকে আঘাতের চিহ্ন আছে। তদন্ত করার পর পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাবে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর ইরফান মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।