বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিশেষ অভিযানে ৯৯ কেজি ওজনের এক কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
শনিবার সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বিকেলে ওই উপজেলার টাউন বারোয়ারী তিন রাস্তার মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বগুড়া সদরের নাইপাড়া এলাকার দীপক কুমার রায়, ঠেংগামারা বালাপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ও শেরপুর উপজেলার কদিমুকন্দ গ্রামের মনিন্দ্রনাথ সরকার।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। ডিবির এসআই শাহ আলম খলিফা মামলাটি করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এসআই শাহ আলম খলিফা জানান, শেরপুরে অবৈধ অস্ত্র, চোরাচালান বিরোধীসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছিল ডিবি পুলিশের একটি টিম। ওই সময় তারা জানতে পারে ওই উপজেলার টাউন বারোয়ারী তিন রাস্তার মোড়ে কয়েকজন কষ্টিপাথর হেফাজতে নিয়ে অবস্থান করছেন। একই সঙ্গে জানা যায় যে কষ্টিপাথরটি ভারতে পাচার করা হবে। এমন খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছে থাকা চটের বস্তার ভেতরে কষ্টিপাথরটি ছিল। এ সময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো তিনজন কৌশলে পালিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, কষ্টিপাথরসহ গ্রেফতার হওয়া তিনজনই চোরাকারবারী। কষ্টিপাথরের মূর্তিটি ভারতে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। উদ্ধার করা কষ্টিপাথরের ওজন ৯৯ কেজি, দৈর্ঘ্য ৪৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২১ ইঞ্চি। উদ্ধার করা কষ্টিপাথরের বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
জেলা ডিবির ইনচার্জ মো. সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার সময় কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতকদের ধরতে অভিযান চলছে। চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শেরপুর থানার ওসি মো. আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূতিহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।