৫০ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর পর থেকেই আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠেছে চা শ্রমিকরা। ঘোষণার পর রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় কাজে যোগ দেয়নি শ্রমিকরা। তবে সোমবার ভোর থেকেই হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে দলে দলে যোগ দেয় তারা। আর এতে করে বাগানে বাগানে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
সরেজমিন দেখা যায়, মজুরি বাড়ায় শ্রমিকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। বাগানে উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন তারা। সকাল থেকে দারাগাঁও, রশিদপুর, চান্দপুর, ফয়জাবাদসহ জেলার সবগুলো বাগানে কাজ শুরু করেন তারা। তবে এর আগে এতো দিন কাজ ছাড়া থাকেননি শ্রমিকরা। আন্দোলন চলাকালে কাজে না থাকলেও শ্রমিকদের মন পড়েছিল বাগানে।
চা-শ্রমিক সন্ধ্যা রানী বলেন, দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরে আমাদের অনেক ভাল লাগছে। আমাদের মজুরি বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা খুশি। চা শ্রমিক দাসিয়া দাস বলেন, এখন পাতা তুলতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। এতদিন ঘরে থেকে আমাদের ভালো লাগেনি। অনেক কষ্ট হয়েছে।
বিজয়া কর্মকার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, কাজ বন্ধ থাকলে কী ভালো লাগে? আজ আমরা কাজে আছি আমাদের ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি বাড়িয়ে দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ।
ফয়জাবাদ চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি দুলাল সাওতাল বলেন, টানা ১৯ দিন আন্দোলন করে সোমবার কাজে যোগ দিয়েছি। আনন্দের সঙ্গে কর্মস্থলে ফিরেছেন শ্রমিকরা।
ওই বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম সাকলাইন বলেন, এরই মধ্যে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করবো যেন একটু বেশি কাজ করিয়ে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি।
এর আগে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্নদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী তাদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলে সোমবার থেকে তারা পুরোদমে কাজে ফিরে যান।