যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনমুখী চারটি চীনা এয়ারলাইনসের ছয়টি ফ্লাইট স্থগিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। করোনা ইস্যুতে চীনে মার্কিন এয়ারলাইনসের কিছু ফ্লাইট স্থগিত করার জবাবে এ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিয়ামেন, এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট স্থগিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৯টি ফ্লাইট লস অ্যাঞ্জেলস থেকে এবং সাতটি নিউইয়র্ক থেকে ছাড়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, চীনে করোনার কারণে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেল্টা এয়ারলাইনস ওবং ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের মোট ২৬টি ফ্লাইট স্থগিত হওয়ার কথা জানায় মার্কিন পরিবহন বিভাগ।
তারা জানায়, গত ৭ আগস্ট থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের নীতি সংশোধন করেছে। এর ফলে চীনগামী ফ্লাইটগুলোতে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্তের হার যদি মোট যাত্রীর সংখ্যার চার শতাংশে পৌঁছায়, তবে একটি ফ্লাইট স্থগিত এবং যদি আট শতাংশে পৌঁছায় তবে দু’টি ফ্লাইট স্থগিত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীনের নীতিতে এয়ারলাইনগুলোর ওপর ‘অযৌক্তিক দোষ’ চাপানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্লাইটে ওঠার আগে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ শনাক্ত ভ্রমণকারীরা চীনে নামার পরে পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছেন।
মহামারির শুরু থেকেই আকাশ পরিবহন সেবা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। ২০২১ সালের আগস্টে বেইজিং ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের চারটি ফ্লাইটে যাত্রী ধারণ ক্ষমতায় ৪০ শতাংশ সীমা আরোপের পর চীনা এয়ারলাইনগুলোতেও একই ধরনের সীমা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।