ছাগী নয়, দুধ দিচ্ছে পাঁঠা। দুধদানকারী একটি পাঁঠাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এই পাঁঠার দুধের স্বাদও গরু বা ছাগীর দুধের মতোই। দুধের পাশাপাশি বীজ দিচ্ছে পাঁঠা! কথাটি শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকচকা গ্রামে। প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টিকে তাদের কাছে নতুন বলছেন। পাঁঠাটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে মানুষ।
জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী মোনারুলের বাড়ির পাশেই একটি বাগানে গাছের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে পাঁঠাটি। পাঁঠাটি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। উপস্থিত জনতার সামনে মালিক পাঁঠার বাট থেকে প্রায় আধা লিটার দুধ বের করে দেখান।
পাঁঠা দেখতে আসা স্থানীয় রঞ্জু মিয়া বলেন, প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে নিজে দেখার পর বিশ্বাস না করে উপায় নেই। পাঁঠার দুধ দেওয়ার ঘটনা সত্যিই অবাক করার মতো।
সাইফুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, পাঁঠা দুধ দেয় এমন ঘটনা আমার জীবনে প্রথম দেখা। বিষয়টি অলৌকিক বলে মনে করেন তিনি। পাঁঠার দুধ দেখতে গাভির দুধের মতো হলেও খেতে অনেক সুস্বাদু বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় মাঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজাদ মিয়া বলেন, একদিকে পাঁঠাটি দুধ দিচ্ছে অন্যদিকে বীজও দেওয়া হচ্ছে। এমন ঘটনা বিরল।
পাঁঠার মালিক মোনারুল মিয়া বলেন, আমি গরুর ব্যবসা করি। ব্যবসার কাজে একবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে গিয়েছিলাম। সেখানে পথের ধারে এক বৃদ্ধার কাছে পাঁঠাটিকে দেখতে পাই। পরে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে পাঁঠাটি কিনে আনি। পাঁঠাটি প্রতিদিন আধা কেজি করে দুধ দেয়। এটা দিয়ে আবার বীজও দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান বলেন, পাঁঠা দুধ দেয় বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এটি হরোমনজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে। তবে পাঁঠাটি বীজ দেওয়ার কাজে ব্যবহার এবং একইসঙ্গে দুধ দেওয়ার বিষয়টি একেবারে নতুন। তবে এ দুধ স্বাস্থ্যসম্মত এবং খাওয়ার উপযোগী কিনা তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।