বরিশাল মহানগরীতে ছাত্রদল নেতার মারপিটে শাহ আলম নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মহানগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুজন খান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত শাহ আলম বরিশাল নগরীর রসুলপুর এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। শাহ আলম ছাত্রদল নেতা সুজন খানের ‘সুজন বাণিজ্য ভাণ্ডার’ নামের ফলের আড়তের কর্মচারী ছিলেন। তিনি কয়েক মাস আগে ঐ চাকরি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন।
মৃত শাহ আলমের আত্মীয় মো. শুভ জানান, সুজনের ফলের আড়তে কাজ করতেন শাহ আলম। সেখানে খুব অল্প বেতন পেতেন তিনি। এ জন্য সুজনের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা ধার নেন শাহ আলম। কয়েক মাস আগে আড়তের কাজ ছেড়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন শাহ আলম।
তিনি আরো জানান, সুজন ও তার সহযোগীরা পাওনা আদায়ের জন্য রোববার রাত ১১টার দিকে শাহ আলমকে অটোরিকশাসহ আটকে রাখেন। এরপর সুজনের ফলের আড়তে নিয়ে শাহ আলমকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে অটোরিকশা রেখে শাহ আলমকে একটি রিকশায় বাসায় পাঠিয়ে দেন তারা। এ সময় শাহ আলম অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে স্বজনরা শাহ আলমকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহ আলমের আত্মীয় মো. শুভ জানান, ছাত্রদল নেতা সুজন এবং তার সহযোগীদের মারপিটের কারণেই শাহ আলমের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সুজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন জানান, শাহ আলমের পরিবারের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।