তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত এবারের ইউএস ওপেনে খেলতে নামছেন রাফায়ের নাদাল। কিন্তু এবারের আসরে নোভাক জকোভিচের অনুপস্থিতির বিষয়টি বেশ দু:খজনক বলে মন্তব্য করেছেন এই তারকা।
২০১৯ সালের ফাইনালে দানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে জিতে শিরোপা নিশ্চিতের পর পর নিউ ইয়র্কে আর খেলা হয়নি নাদালের। এরপর আরো তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে সর্বমোট ২২টি নিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
নিউ ইয়র্কে আগামী সোমবার থেকে শুরু হওয়া এবারের আসরেও শিরোপা জয়ের লক্ষেই কোর্টে নামবেন ৩৬ বছর বয়সী নাদাল। কিন্তু জকোভিচের না খেলাটা তিনি ভালভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন সার্বিয়ান সাবেক নাস্বার ওয়ান জকোভিচ। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করোনা সংক্রান্ত ট্রাভেল বিধিনিষেধের কারনে জকোভিচের নিউ ইয়র্ক সফরে আসা হয়নি।
দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী জকোভিচকে কোর্টে না পেয়ে নাদাল বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি বলবো বিষয়টি বেশ দু:খজনক। বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় যখন কোন টুর্নামেন্টে খেলতে না পারে তখন বিষয়টি সবসময়ই লজ্জার। সেটা ইনজুরি কিংবা অন্য যেকোন কারণেই হতে পারে। এবার জকোভিচের না খেলার বিষয়টি সত্যিই দু:খজনক। ইতিহাসে একজন সেরা খেলায়াড়কে গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে না পাওয়াটা কখনই মেনে নেয়া যায় না। এটা সমর্থকদের জন্য যেমন টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির জন্যও হতাশার।
তবে জকোভিচের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও টুর্নামেন্টের আবহ কোন অংশেই কমবে না বলে নাদাল স্বীকার করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বারবারই একটি কথা বলতে চাই যেকোন টুর্নামেন্টই বিশ্বের যেকোন খেলোয়াড়ের থেকে বড়। আমি আমার টেনিস ক্যারিয়ারে ইনজুরির কারণে অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট মিস করেছি। গত বছরও আমি এখানে খেলিনি। দুই বছর আগেও আমি এখানে ছিলাম না। কিন্তু টুর্নামেন্ট থেমে থাকেনি। টেনিস বিশ্ব ঠিকই সামনে এগিয়ে গেছে। যদিও এটা সবসময় সবার জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে আসেনা। নোভাক, ফেদেরার এবং আমার পরেও টেনিস কিন্তু ঠিকই তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে।’
২০২২ সালে দারুন ছন্দে আছেন নাদাল। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতে নিয়েছেন। উইম্বলডনের সেমিফাইনালে অবশ্য পেটের পেশীর ইনজুরির কারনে নিক কিরিওসের বিপক্ষে কোর্টে নামা হয়নি। এ মাসে সিনসিনাতি মাস্টার্সের মাধ্যমে তিনি আবারো কোর্টে ফিরেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়।
সিনসিনাতিতে ফিরে আসার পর নিজের ইনজুরির বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন বলে নাদাল জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ধরনের ইনজুরি বেশ কঠিন। এমনকি ক্যারিয়ারের জন্য হুমকিস্বরুপ। বিশেষ করে সার্ভিং এর সময় এই পেশীগুলোতে বেশ চাপ পড়ে। সিনসিনাতিতে তাই আমি বেশ সাবধানতা অবলম্বন করেছি।
ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়ে টুর্নামেন্টে খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় রিংকি হিজিকাটার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নাদাল ইউএস ওপেনের মিশন শুরু করবেন।