এক কিশোরীকে (১৫) বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি মো. হাসান আলীকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধাইধাইপাড়া এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে আটোয়ারী থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. দুলাল উদ্দীন প্রধান জানান, গ্রেফতার মো. হাসান আলীকে আদালতে হাজির করা হবে। এ নিয়ে ওই মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
গত ৬ আগস্ট (শনিবার) রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলায় ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ৭ আগস্ট (রোববার) সকালে আটোয়ারী থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার।
এর আগে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ঘটনার পরদিন ৭ আগস্ট আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা এলাকার রাজু (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে তাদের আদালতে তোলা হয়। এরপর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠায়।
অভিযুক্তরা হলেন- আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে মো. হাসান (মূলহোতা), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ (৩০), আব্দুর রহমান (৫০), তার ছেলে আমিনুল ইসলাম ডিপজল (২৫), খাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল (৪০) ও কৈলাসের ছেলে ওমর (৩০)।
জানা গেছে, এক বছর আগে হাসানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই কিশোরীর। ৬ আগস্ট (শনিবার) সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায় মেয়েটি। দুপুরে মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করার কথা বলে তাকে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় হাসান। বিকেলে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে আটোয়ারী উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। সেখানে হাসান ও তার বন্ধু সবুজ ধর্ষণ করে তাকে।
এ সময় ওই এলাকার আব্দুর রহমান, তার ছেলে আমিনুল ইসলাম, তাদের প্রতিবেশী নজরুল ও ওমর সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও সবুজ পালিয়ে যায়। এ সুযোগে তারাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গভীর রাতে এক পথচারী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। রোববার ভোরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরীকে।