প্রেমের প্রস্তারে রাজি না হওয়া ও কথা বলতে না চাওয়ায় কুষ্টিয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধারালো খুড় দিয়ে তার মুখ ও হাতে জখম করেছে এক বখাটে যুবক।এর পরেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ঝাউদিয়া বাজার এলাকায় এ হামলা চালায় রানা (১৭) নামের এক যুবক।
আহত স্কুলছাত্রী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছাত্রী। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক। এ ঘটনায় পুলিশ আশরাফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে।
বখাটের বাবার নাম আব্দুল জলিল। বাড়ি ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়ায়। সে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খাতের আলীর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে সে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, প্রতিদিনের মত এলাকার বড় ভাই সজলের কাছে শনিবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে ঝাউদিয়া বাজারের কালিতলা এলাকায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর এলাকায় সম্পর্কে দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। পড়া শেষে আমি সেখানে গোলাপের হোটেলে দেখা করতে গেলে বখাটে রানা সেখানে উপস্থিত হন। তখন রানা বলে, তোমার সমস্যা কি? এ সময় আমি বলি, আমার ছবি আপনার ছবির সাথে জোড়া লাগিয়েছেন কেন? আমার ছবিগুলো ডিলিট করে দেন। এ সময় রানা জানতে চায় তার সাথে কেন আমি কথা বলি না। আমি তখন বলেছি, আপনার সাথে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পকেট থেকে ধারালো কিছু বের করে আমার মুখে ও হাতে পোঁচ দেয়। মুখের ৪টি স্থানে আঘাত করেছে সে। এরপর হাতেও পোঁচ দেয়। আঘাত করেই হোটেলের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
ওই ছাত্রী আরো বলেন, আমি যখন ক্লাস অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকে সে আমার পেছনে ঘুরছে। আমি তাকে পাত্তা দেয়নি, সে কথা শোনে না। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছে ওই শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম বলেন, তার মুখে ও হাতে আঘাত রয়েছে। ব্লেড বা খুর জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত গভীর নয় তবে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর দুলাভাই আশরাফুল ইসলামকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার আগে ওই ছাত্রীকে দেখা করতে বলেছিল আশরাফুল। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করেছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আননুর জায়েদ বলেন, আশরাফুলকে আটক করা হয়েছে। রানা নামের বখাটে যুবককে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিবার থেকে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। তারপরও পুলিশ চেষ্টা করছে তাকে আটক করা জন্য।