চালুর প্রথম ২ মাসে স্বপ্নের পদ্মাসেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ১৩৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ পরিমাণ টোল আদায় হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু উদ্বোধন করেন গত ২৫ জুন। পরদিন ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে খুলে দেয়া হয় পদ্মাসেতু।
প্রথম দিন ২৬ জুন পদ্মাসেতু দিয়ে ১৮ ঘণ্টায় মোটারসাইকেলসহ রেকর্ডসংখ্যক ৫১ হাজার ৩১৬টি যান পারাপার হয়, যা থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।
এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২৬ হাজার ৫৮৯টি যানবাহনের টোল ওঠে ১ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ২৪ হাজার ৭২৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল ওঠে ১ কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা।
পদ্মাসেতু দেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হয়। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাংশের সংযোগ ঘটে।
সেতু চালুর পর থেকেই দিনরাত নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। এতে দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনীতে বইছে দিন বদলের হাওয়া।
দক্ষিণের ২১ জেলা রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার পর ফেরির বিড়ম্বনা এখন নেই। যেখানে দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে পদ্মা পাড়ি দেয়ার অপেক্ষার প্রহর গুণতে হতো। এখন চোখের পলকে বিশাল পদ্মা পার হওয়া সম্ভব হচ্ছে।