ঢাবি প্রতিনিধি
করোনা মহামারির পর এবারই প্রথমবারের মত আগের মত স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাণের বইমেলা। মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বইমেলা ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে মেলা। ছুটির দিনে খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকেই।” পড়ো বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ” প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এবারের বই মেলা।
আজ সোমবার বেলা ৩ টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা–২০২৩ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বই মেলা ২০২৩ এর সদস্য সচিব ডা.কে এম মোজাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
তাঁরা জানান বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১ টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১ টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে “রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ-বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।
মন্দির গেটটি মূল প্রবেশ পথ। মোট প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে ৩ টি । প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা-১টা পর্যন্ত থাকবে শিশু প্রহর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন খাবারের দোকান টিএসসির দিকে যেন ভিড় না করে সেজন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর দিকে আয়োজন করা হয়েছে। খাবারের স্টল থাকবে সুবিন্যস্ত।