গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আবারো ফিরেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ফেরার মিশনে ক্যারিবিয়ানে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও সর্বশেষ
দীর্ঘ তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে সুবিধা করতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পেয়েছেন দুই অর্ধশতকের দেখা। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে জায়গা পেয়েছেন আসন্ন এশিয়া কাপের টাইগার স্কোয়াডে। দুবাই থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে পরিকল্পনা বেশি জরুরি। ।
বর্তমানে টাইগার দলের সাথে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজয়। দুবাই থেকেই জানালেন দলে সকলের যে মেধা আছে তাতে চার-ছক্কা মারার ক্ষমতা সব ব্যাটারই রাখে।
বিজয় বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধরে বিপিএল খেলছি, বাংলাদেশের হয়েও খেলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের যে মেধা আর পরিশ্রম তাতে পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে পরিকল্পনা বেশি জরুরি। কেউ বলতে পারবে না দলের কেউ চার-ছক্কা মারতে পারে না বা সামর্থ্য নেই। শতভাগ সামর্থ্য নিয়েই বাংলাদেশ দলে খেলতে হয়।
ব্যাটে নেমেই কয়েকটি বল দেখে শুনে বুঝে নেওয়ার জন্য সময় লাগবে। এতে করে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
বিজয় বলেন, তাদের (ব্যাটসম্যান) নিজস্ব সময় দেওয়া উচিত। ১০ বল হোক, ৩-৪ বল হোক। এরপর চেষ্টা করলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য আছে। আমার মনে হয় না ক্রিকেটারদের হতাশ হওয়ার কিছু আছে।
ক্রিকেটের ভাষায় ইনিংসের শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এশিয়া কাপে ইনিংস শুরুর দায়িত্ব থাকবে বিজয়ের কাঁধে। তিনিও জানালেন বড় মঞ্চে কার্যকারী ইনিংস খেলা গুরুত্বপূর্ন অনেক। তিনি আশা করছেন শুরুতেই দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিজয় জানান, যেহেতু এশিয়া কাপ বড় মঞ্চ, চেষ্টা করব দলকে কার্যকরী ইনিংস উপহার দেওয়ার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ইনিংসের যেন শুভসূচনা করতে পারি। মিরাজ, তাসকিন, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, আফিফ—সবাই অনেক সাহায্য করেছে। টপ অর্ডারে ভালো স্কোর দাঁড় করালে তাদের জন্যও সুবিধা হবে। আবার মিডল অর্ডার ভালো করলে লোয়ার মিডল অর্ডারের জন্য ভালো হবে। দলীয় স্কোর বড় করলে বোলারদের জন্য ভালো হবে। আশা করছি দারুণ সূচনা এনে দিতে পারব, সেভাবেই অনুশীলন করছি।
আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপের আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে আফগানিস্তান এবং শ্রীলংকা। আগামীকাল পরস্পরের মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। ৩০ তারিখ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।