দিনাজপুরে বাবু খালাসি নামে আত্মগোপনে থাকা হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পিকনিকে দাওয়াত না পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এবাদত মুন্সি নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে বাবু ও তার বন্ধুরা।
সোমবার সকালে বিরল উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে বাবু খালাসিকে আটক করা হয়। র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আটক বাবু মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার কাচাবালী এলাকার বাসিন্দা। জেলার রাজৈর থানার কবিরাজপুর ইউপির গুরুজকান্দি গ্রামের আবু জালাল মুন্সির ছেলে এবাদত মুন্সি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
র্যাব জানায়, পিকনিক সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে কয়েকজন বন্ধু মিলে এবাদত মুন্সিকে হত্যা করেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন বাবু। তিনি বিরল উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন।
র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে বাবুকে আটক করা হয়। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কয়েক মাস আগে এবাদতসহ তার বন্ধুরা মিলে পিকনিকের আয়োজন করে। সেই পিকনিকে দাওয়াত না দেওয়ায় একই ইউপির কাচাবালি গ্রামের রাকিব, বাবু, রাব্বি, মেজবাহ, জাহিদ, হরিদাসদী ও নাঈমের সঙ্গে বিরোধ বাধে এবাদতের।
এর জেরে রাকিব ফেসবুকে একটি হুমকিমূলক পোস্ট দেন। সেখানে কমেন্ট করলে এবাদতের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব আরো তীব্র হয়। পরে ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় এবাদত ও তার চাচাতো ভাই শাহাদাত মুন্সিকে সেই বিরোধ মীমাংসার কথা বলে কবিরাজপুর ছইফ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশে ডেকে নেন। সেখানে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে তাদের ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান রাকিব ও তার সহযোগীরা।
এর পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবাদত মুন্সির মৃত্যু হয়।