হ্রদ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রূপের রাণী রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণপিয়াসুদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এবং মনের প্রশান্তির খোঁজে রাঙ্গামাটির দর্শনীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সী প্রকৃতিপ্রেমীরা। কক্ষ খালি না থাকায় পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা।
জানা গেছে, সরকারি ছুটির দিনে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের উপস্থিতি বাড়ে। এখানকার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মনোরম ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো পার্ক, জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্কে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। এখান থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা পাহাড় ঘেরা শান্তজলের হ্রদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে পাড়ি জমাচ্ছেন, শুভলং ঝরনা, পেদাটিংটিং, টুকটুক ইকোভিলেজ, বেড়ান্যে লেক, বড়গাং, মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। এছাড়া রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি সাজেকেও ছুটছেন পর্যটকেরা।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য এই অঞ্চলের সহজ-সরল পাহাড়ি-বাঙালি মানুষগুলোর আয় রোজগারও। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে আবাসিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট, হস্তশিল্পের কারুকাজ, চাকমা ও মারমা সম্প্রদায়ের তৈরি তাঁতের কাপড়সহ ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাগুলোর বেচা-বিক্রিও জমে উঠেছে।
রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। সবাই সুন্দরভাবে রাঙ্গামাটি শহর ঘুরছেন।
রাঙ্গামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, ছুটির দিনে প্রায় হোটেলের ৭০ শতাংশ রুম বুকিং থাকে।
রাঙ্গামাটি পর্যটন ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে পর্যটক বাড়ে। তাদের টিকেট কাউন্টারের হিসাব অনুযায়ী কয়েক হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে রাঙ্গামাটিতে।