করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ৮৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে সাড়ে তিন শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৪ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬০ কোটি ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সোমবার সকালের দিকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে জাপানে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৫ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৮ হাজার ৭৭০ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৫১ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ৮৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬৯ হাজার ১৩২ জন মারা গেছেন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৮ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৪৭ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৮৭ লাখ ৬ হাজার ৫০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭৬৫ জন।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।