ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে এক স্কুলছাত্রী ফুফাতো ভাইসহ তার সহযোগীদের দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে অপবাদ সইতে না পেরে বিষপানের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
নিহত ওই স্কুলছাত্রী হাজরাকান্দা গ্রামের রেজাউল মল্লিকের মেয়ে মিম আক্তার (১৫)। সে দিগনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিমের বড় বোন সুমি আক্তার জানান, গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। টয়লেট শেষ করে বের হলে তার ফুফাতো ভাই পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার ছোট পাইককান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাব্বিসহ তিন থেকে চারজন তাকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের বাগানে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি করলে মিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেন ধর্ষকরা। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়ার পাঁচদিন পর সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সে।
সুমি আক্তার আরো জানান, রাব্বি মীমকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রাব্বি তার বন্ধুদের নিয়ে এই সর্বনাশ করেন। আমার বোন ভয়ে ধর্ষণের দুইদিন পর আমার কাছে সব খুলে বলে। মিম ভয়ে কাঁপছিল এবং বলেছে, রাব্বি কিন্তু জানতে পারলে আমাকে মেরে ফেলবে।
এদিকে নিহত ছাত্রীর বাবা রেজাউল মল্লিক বলেন, মেয়ে ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে বিষপান করে। এ বিষয়ে আমি ভাঙ্গা থানায় ডিউটি অফিসারের নিকট ধর্ষণের ঘটনায় একটি অভিযোগ করি। থানা থেকে বলেছে- আগে মেয়েকে চিকিৎসা করান, পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়াউল করিম বলেন, ধর্ষণের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে বিষপানে মেয়েটি মারা গেছে বলে জেনেছি। নিহত মেয়েটি ও ছেলেটি মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন ছিল। সম্ভবত প্রেমঘটিত কারণে বিষপান করেছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।