বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে ছয় জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আট আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব, ডিবি ও মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশ বরিশাল নগরী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে মামলার আট আসামিকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ছয় আসামিকে র্যাব ও অপর দুই আসামিকে ডিবি ও মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর রূপাতলী র্যাব-৮ এর সদর দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছয় আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান হোসেন সোহেল মোল্লা, মো. মিরাজ, মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গনি জমাদ্দার, কামরুল ইসলাম রিপন, কামাল মাঝী, মো. সোহাগ, মো. আলআমিন ও মাকসুর রহমান মিরাজ। তাদের বাড়ি মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৮ আগস্ট দুপুরে মো. রিমন নামে আহত এক যুবককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন সাত যুবক। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা চাইনিজ কুড়াল ও রাম দা দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকেন রিমন ও তার সঙ্গে থাকা ছয় যুবককে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে।
তাদের তাণ্ডব ও নির্মমতা দেখে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার শাকিলা ইসরাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় জরুরি বিভাগের স্টাফরা আতঙ্ক ও ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। হাসপাতালের নেবুলাইজার মেশিন ও ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করেছে হামলাকারীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে এ ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ আসার পর সেখান থেকে চলে যান হামলকারীরা।
র্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, র্যাব-৮ এর সদস্যরা বরিশাল নগরী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে হামলা মামলার ছয় আসামিকে গ্রেফাতার করেছে। তাদেরকে মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, থানা ও জেলা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সোহেল মোল্লা ও তার সহযোগী মিরাজকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।