বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জাপান আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। জাপান বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে থাকবে।
বৃহস্পতিবার সুগন্ধা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব জেনোসাইড স্টাডিজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: প্রত্যাবাসনের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গাদের আগমনের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ভাসানচরে জীবিকা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ বাড়াতে রোহিঙ্গাদের নিয়োগের জন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়ে প্রচেষ্টা চালানোর পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত নোয়েলিন হাইজার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডাচ রাষ্ট্রদূত এ্যান ভ্যান লিউয়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের শরণার্থী সমন্বয়কারী রো ম্যাকেঞ্জি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ইতো নাওকি পাঁচ বছর ধরে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে মোট ৮.২ মিলিয়ন ডলার নতুন অবদান দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে জাপান আগস্টে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।