কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ শখের বিড়ালটি। এরপর সোমবার দুপুর থেকে বিড়ালের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ সময় বিড়ালের জন্য অক্সিজেনের চেষ্টা করেও মেলেনি কোনো উপায়। অবশেষে খুলনা অক্সিজেন ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিড়ালের মালিক তাহমিনা। পরে খুলনা অক্সিজেন ব্যাংকের পক্ষ থেকে সিলিন্ডার ও অক্সিজেন মাস্ক সরবরাহ করা হয়। অক্সিজেন মাস্ক দেওয়ায় বর্তমানে বিড়ালটি ভালো আছে।
বিড়ালের মুখে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে খুলনা অক্সিজেন ব্যাংক নামে একটি সংগঠন। সোমবার রাতে খুলনা শহরের দৌলতপুর এলাকায় এমন একটি মানবিক ঘটনা ঘটেছে।
বিড়ালের মালিক তাহমিনা সুলতানা রিন্তি জানান, কয়েক দিন ধরে তার শখের বিড়ালটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার দুপুর থেকে বিড়ালের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ সময় বিড়ালের জন্য অক্সিজেনের চেষ্টা করেও সন্ধান করতে না পেরে খুলনা অক্সিজেন ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে খুলনা অক্সিজেন ব্যাংকের পক্ষ থেকে সিলিন্ডার ও অক্সিজেন মাস্ক সরবরাহ করা হয়। অক্সিজেন মাস্ক দেওয়ায় বর্তমানে বিড়ালটি ভালো আছে।
খুলনা ব্লাড ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ আসাদ জানান, ৫৫৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে করোনাকালে রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে তাদের হেল্প লাইনে একটি মেয়ে কল করে কান্নাকাটি করে বলেন, তার পোষা বিড়াল অসুস্থ ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার বিড়ালের জরুরি অক্সিজেন দরকার। বিষয়টি জানার পর স্বেচ্ছাসেবীরা বিড়ালের জন্য অক্সিজেন মাস্ক নিয়ে সেখানে যায়। পরবর্তীতে বিড়ালকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, এই প্রথম এমন ব্যতিক্রম কার্যক্রম পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তারা।
সেভ ওয়াইল্ড লাইফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, বিষয়টি অবাক করার মতো। প্রাণীর প্রতি এমন ভালোবাসা ভাবিয়ে তুলেছে। আগামীকাল বন্যপ্রাণী সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবীরা বিড়ালের সুস্থতার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে যাবেন। প্রয়োজন হলে বিড়ালেকে পশু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।