শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ২৫ জন কৃষিবিদকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাসচিব মো. খায়রুল আসল প্রিন্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সবসময় কৃষি নিয়ে ভেবেছিলেন। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। যুদ্ধ পরবর্তী এ দেশকে বিনির্মাণের লক্ষ্যে কৃষিখাতকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্তফ্রন্টের ২১- দফার মধ্যে বেশ কয়েকটি দফা ছিল কৃষি ও কৃষক নিয়ে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কৃষি ভিত্তিক সমবায় ব্যবস্থাকে বেছে নেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সমবায় ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়ন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কৃষিকে আধুনিকায়ন করেছেন। সার ও সেচ খাতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। কৃষিকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নতি সম্ভব না। দেশের অগ্রগতিতে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিকে নিয়ে ভেবেছিলেন বলেই আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভালো বীজ না হলে ভালো ফসল হবে না, বঙ্গবন্ধু এমন ভাবনা থেকেই গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। দেশে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধু কৃষিকে আরো গতিশীল করেন।