বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বর্তমানে দেশে শুধু সরকারি কর্মচারীরা পেনশন পেলেও বেসরকারি চাকরিজীবীসহ সবাইকে পেনশনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে।
ইমরুল বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে অর্থ বিভাগ কর্তৃক ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা অবলোকন করে সরকারি-বেসরকারিসহ সকল ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতের ষাটোর্ধ্ব জনগণের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন।”
এই সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজের ঘর না থাকায় বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ তার ১৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাস করছিলেন প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে। এমন সঙ্কটে আছেন প্রবীণ অনেকে। ফাইল ছবি
বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও হতদরিদ্র মানুষকে সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা সাজানোর কথা এর আগে মন্ত্রী মান্নান এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের বাজেট বক্তৃতায় সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও পেনশনের আওতায় আনার চিন্তার কথা বলেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি তখন বলেছিলেন, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, তারাই পেনশন সুবিধা পান। বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও অন্যদের জন্য সে সুবিধাও নেই।
বয়োজ্যেষ্ঠ সবাইকে পেনশন দেওয়ার ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে প্রবীণদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, বিপরীতে নগরায়নের ফলে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রবীণদের শেষ জীবনে আর্থিক সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন ‘সময়ের দাবি’।