সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ামক সমূহকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অগ্রসর ও সমতা-ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের এ চেষ্টায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
রোববার স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের স্কটিশ পার্লামেন্টের ডিবেটিং চেম্বারে ষষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক কালচারাল সামিটের তৃতীয় ও সর্বশেষ দিনে ‘সংস্কৃতি ও টেকসই স্থায়িত্ব’ শীর্ষক প্ল্যানারি সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেশনটিতে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন স্কটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার এলিশন জোয়াসটন। কি-নোট স্পিকার হিসাবে বক্তৃতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নৃতত্ত্ববিদ স্টিভেন ফেল্ড এবং মিশরের ‘দ্য নাইল প্রজেক্ট’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রযোজক মিনা গির্গিস।
কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক টেকসই স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণে আমাদের একটি সংস্কৃতি নীতি রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনি কাঠামো, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, আর্থিক জোগান ও ব্যবস্থাপনা এবং সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ করে, যা বাংলাদেশের সংস্কৃতি নীতির মূল ভিত্তি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৮টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ এরই মধ্যে ইউনেস্কোর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন, প্রটোকল, চার্টার এবং নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে টেকসই পারিপার্শ্বিকতা অর্জনে আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইউনেস্কোর মতো উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি সাংস্কৃতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সহযোগিতা আমাদের সহায়তা করবে।
‘ফেস্টিভাল সিটি’ হিসেবে এডিনবার্গের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী (২৬ থেকে ২৮ আগস্ট ২০২২) এ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। সম্মেলনে বিশ্ববরেণ্য শিল্পীসহ বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেছেন।