বিশ্বের ১৫তম ও বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০তে শততম ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগামীকাল চলমান এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামলেই টি-২০তে শততম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব।
সাকিবের আগে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ১০০ ম্যাচ খেলেছেন দুই সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-২০ খেলার রেকর্ড মাহমুদউল্লাহর দখলে।
২০০৭ সালে অভিষেকের পর এখন অবধি ১১৯টি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর ২০০৬ সালে প্রথম টি-২০ খেলতে নামা মুশফিক গত মার্চে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ক্যারিয়ারের শততম টি-২০ খেলেছিলেন।
২০০৬ সালের নভেম্বরে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-২০ অভিষেক হয় সাকিবের। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতের ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ৯৯টি টি-২০র ৯৮ ইনিংসে ১০টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০১০ রান করেছেন অলরাউন্ডার সাকিব। তার ব্যাটিং গড়- ২৩ দশমিক ১০ গড় এবং স্ট্রাইক রেট ১২০ দশমিক ৮৬। সাকিবের ৮৪ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ। ২০১২ সালের বিশ্বকাপে পাল্লেকেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৫৪ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব।
এই ফরম্যাটে বল হাতেও প্রতিপক্ষের বড় মাথা ব্যথার কারণ সাকিব। সেটি পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। বিশ্ব ক্রিকেটে টি-২০তে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের মালিক সাকিব। ১২১টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ইনিংসে পাঁচবার চার ও একবার পাঁচ উইকেট নেন সাকিব।
২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এই ফরম্যাটে এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। টি-টোয়েন্টিতে ২১বার অধিনায়কত্বও করেছেন সাকিব। সেখানে জয় ৭টি ও হার ১৪টি।