মানুষ নয় একটি ক্যাপসুল বহন করে চাঁদে যাবে নাসার মহাকাশ যান। চাঁদে অবতরণের জন্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তার নতুন মহাকাশ যান স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের যাত্রা শুরুর সময় গণনা শুরু করেছে।
২৯ জুন সোমবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা তেত্রিশ (বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যে ৬টা তেত্রিশ) মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাসার কর্মকর্তারা মনে করছেন, এতে মূল প্রযুক্তিগত কোন ত্রুটি নেই। এই রকেট একটি ক্যাপসুল বহন করবে। এই ক্যাপসুলের নাম ওরাইয়ন। এই ওরাইয়ন চাঁদের চারপাশে পরিভ্রমণ করবে। তবে এই যাত্রায় কোনো মানুষ থাকবে না। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলে পরবর্তী মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা যোগ দেবেন।
এসএলএস নাসার তৈরি এপর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশ যান। চাঁদে মানবজাতির অবতরণের পঞ্চাশ বছর পর আবার মানুষকে চন্দ্রপৃষ্ঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই প্রকল্পটির নাম আর্টেমিস।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই এসএলএসটি উৎক্ষেপণ করা হবে। যাত্রা শুরুর পর যানটি দু’ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ত্যাগ করবে।
নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্টের সহযোগী প্রশাসক জিম ফ্রি বলছেন, ‘পর্যালোচনা থেকে আমরা কোন নেতিবাচক ফলাফল পাইনি। এবং এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন ভিন্নমতও তৈরি হয়নি।’
চাঁদে মানুষ প্রথমবারের মতো পা রাখে ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ রকেটে চড়ে। ঐ ঘটনার অর্ধ শতাব্দী পরের এই উৎক্ষেপণ নাসার জন্য একটি বড় ঘটনা হতে যাচ্ছে। নাসা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের নতুন প্রযুক্তি ‘আর্টেমিস প্রোগ্রাম’ নিয়ে ফিরে আসছে যার প্রযুক্তি আধুনিক যুগকে সমৃদ্ধশালী করবে।
তারা আশা করছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বা তার পরপরই মহাকাশচারীদের মঙ্গল গ্রহে পাঠাবে।