টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অপোর শুরু করা ‘স্টোরিজ অফ হিরোইক পিপল’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের সমাপনী পর্বে এসে এই পুরস্কার দেওয়া হল।
বুধবার অপো বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দুলাল স্যার, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাজেদুল ইসলামের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেওয়া হয়।
অপো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যামন ইয়াং, হেড অব ব্র্যান্ড লিউ ফেং, ব্যুরো বাংলাদেশের প্রোগাম কোর্ডিনেটর মোখলেসুর রহমান এবং সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশনস) নোশন তারাননুম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অপোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইন্সপায়ারিং এহেড’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গত ১২ ডিসেম্বর এ ক্যাম্পেইন শুরু করে তারা। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এই তিনজনকে বাছাই করা হয়।
অপো ফোনের মডেল রেনো ৬ দিয়ে ছবি তোলার এ ক্যাম্পেইন চলে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে অপোর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে সংগ্রামী মানুষের গল্পগুলো শেয়ার করেন অপো ব্যবহারকারীরা। জমা পড়া গল্প থেকে তিনজন ‘সত্যিকারের নায়ককে’ বেছে নেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে দুলাল স্যারের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার গল্প এ প্রতিযোগিতায় সেরার পুরস্কার পেয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী দুলাল স্যার নিজের এলাকায় সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নির্মাণ করেছেন। অনির্বাণ বিদ্যালয়ে তিনি এখনও শিক্ষার্থীদের পড়ান।
দ্বিতীয় পুরস্কার পাওয়া পল্লী চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বয়স এখন ৭০ বছর। তার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। তিনি একাত্তরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন। এখরও তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন মানুষের সেবায়।
দরিদ্র অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম না এলেও তার কোনো হতাশা নেই।
সাজেদুল ইসলাম একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রেখেছেন। তিনি নিজে রক্ত দেন ও অন্যদের রক্ত দিতে উৎসাহিত করেন। মহামারীকালে তিনি গোপালগঞ্জের সংগঠন বন্ধু মহলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারও সরবরাহ করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাজারো গল্পের মধ্য থেকে বাছাই করা এই তিনজনের গল্প ভার্চুয়াল আর্ট কালেকশন অপো গ্যালারিতে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের বীত্বের গল্প জানতে পারে।