বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে কক্সবাজারের টেকনাফে নির্মাণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে নির্মাণাধীন পার্ক পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া জানান, এ প্রকল্প পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ম সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রধান বৈশিষ্ট্য ও অগ্রগতি:আয়তন: ৯৬১ একর,জমি অধিগ্রহণ ব্যয়: ১৮৭ কোটি টাকা,প্রস্তাবিত বিনিয়োগ: ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার,কর্মসংস্থান: প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ,বিদেশি বিনিয়োগকারী: নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান,পরিকাঠামো উন্নয়ন: মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন
পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ থেকে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত ৮.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার স্থাপনে সমীক্ষা কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে।টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে দূরত্ব: ৮ কিলোমিটার। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে: ২ ঘণ্টা।ঢাকা থেকে: ৪৬৮ কিলোমিটার
এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, “কক্সবাজার ইতোমধ্যে পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়িত হলে এটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হবে।”
মিয়ানমারের আপত্তির কারণে নাফ ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এটি বাংলাদেশে ট্যুরিজম শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।