কুবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ (বামসাস) এর আয়োজনে ‘৭ম আন্তর্জাতিক মণিপুরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনে’ বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. মনিরুজ্জামান।
আগামী ৪ নভেম্বর সিলেটে এ সম্মেলন হবে৷ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিপুরী সাহিত্য সংসদের সভাপতি এ. কে. শেরাম।
এ. কে. শেরাম বলেন, প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে থাকি। এতে দেশ-বিদেশের অনেক সাহিত্যিক আমাদের আয়োজনকে উজ্জীবিত করে। সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান কে আমরা বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
জানা যায়, ‘বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ’ বাংলাদেশের মণিপুরীদের সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্য সংগঠন। গত ৪৭ বৎসর ধরে এই সংগঠন বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্য চর্চা ও এর বিকাশের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্মেলনের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ভারতের মণিপুর এবং ত্রিপুরা রাজ্য থেকে মণিপুরী সাহিত্যের বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন । জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বাংলা সাহিত্যের অনেক বিদগ্ধ লেখক-সাহিত্যিকও এই অনুষ্ঠানের অংশ হবেন। অনুষ্ঠানের সমাপনী অধিবেশনে ‘বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্যের স্বপ্নযাত্রা’ শিরোনামে একটি আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুবি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
এদিকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, একটি জনগোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের ভাষার মাধ্যমে যত সাবলীলভাবে সাহিত্যকে তুলে ধরতে পারেন অন্য ভাষায় সেটি সম্ভব না। আবার এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি সম্পর্কে জানতেও নিজেদের মৌলিক সাহিত্য প্রয়োজন। আর এই সম্মেলনে গেলে জাতীয়ভাবে এদের অবস্থান কেমন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কেমন সেটাও জানতে পারব।
তিনি আরো বলেন, বাঙালি সাহিত্যের সাথে বাংলাদেশের মণিপুরী সাহিত্যের সামঞ্জস্যতা বুঝতে সহযোগিতা করবে এই সম্মেলন। তাদের জীবনব্যবস্থা, সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে! আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের অবস্থান কেমন সেটাও এখান থেকে জানা যাবে।
মণিপুরী সাহিত্যের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, যদি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলা হয় ‘বাংলাদেশের সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা কর’ তাহলে কিন্তু শুধু বাঙালি সাহিত্যই উঠে আসবে না৷ আদিবাসী আরো ৪০ টি সাহিত্যও সেখানে যুক্ত হবে।