ঢাবি প্রতিনিধি
আজ শনিবার দুপুর ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
২০১৮ সালের পর দীর্ঘ চার বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্বে ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং উদ্বোধক ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্তিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়কপরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের(এম পি)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের নতুন কমিটির ব্যাপারে বলেন,’ একসঙ্গে কমিটি করা হবে। সিভি নেওয়া হচ্ছে, সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের যেখানে সূচনা, ৭ ই মার্চের ঘোষণা, মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়, তিনি চান পল্টন! এ উদ্যানে বেগম জিয়া অনেক প্রোগ্রাম করেছেন, গত নির্বাচনেও তিনি এখানে সভা করেছেন। ফখরুলের কেন পছন্দ নয়? ধরা পড়ে গেছে, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না। তারা বলে, এখানে নাকি অঘটন ঘটবে, আর পল্টনের ৩৫ হাজার স্কয়ার ফুট এটা উনাদের জন্য নিরাপদ! কেন নিরাপদ আমরা জানি, আগুন,বোমা ও লাঠি নিয়ে আসবেন সেজন্য পল্টন আপনাদের (বিএনপি) জন্য নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন কাদের। আপনার ঢাকা দখল করবেন, আমরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ললিপপ খাবো?
হায়রে আল্লাহ কতবড় সাহস! এখন কামাল হোসেনও নাচে, ওয়ান ইলেভেনর নায়ক, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইয়াহুদী জামাতার মাধ্যমে অর্থপাচারকারী সেই কামাল হোসেনও বলে শেখ হাসিনা বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আপনাদের (বিএনপি) সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস ও লাঠি নিয়ে খেলাকে ভয় পায়। সেই বদ মতলব আপনাদের আছে বলেই পল্টন দরকার। সেখানে সব মজুদ করবে। আমরা তো গাড়ি বন্ধ করিনি, পরিবহন মালিকরা কথা দিয়েছেন তারা ধর্মঘট করবে না, তারা আমাদের কথা রাখবে। ছাত্রলীগের সম্মেলনে ৬ তারিখে হবে, আপনাদের ধারেকাছেও ছাত্রলীগ যাবে না তাহলে ভয় কীসের? প্রশ্ন তুলেন ওবায়দুল কাদের। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান, ২১ শে আগস্ট আমাদের নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) টার্গেট করে আইভী রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হলো তার মাস্টারমাইন্ড হল হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলের নেতা! কেমন নেতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করবে না বলে দেশ ছেড়ে পালালেন। ২০০৮ সাল থেকে হিসেব করুন কত বছর, তিনি আর এলেন না, কতবড় সাহসী নেতা! আসলে ধরা খেয়ে যাবে।’
সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি আরো জানান নতুন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যে ফর্ম নিয়েছেন ২৪৫ জন প্রার্থী।