ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক পপি আক্তারকে হেনস্তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইবি শাখার কর্মী মেহেদী হাসান হাফিজ কর্তৃক একজন নারী শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। একইসাথে এই ঘটনায় নারী নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
ইবি সংসদ দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ সভাপতি জি. কে. সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক পিয়াস বলেন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একজন নারী শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীর সাথে এমন ঘৃণ্য হেনস্তার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে এই ঘটনার মূল হোতা ছাত্রলীগ কর্মী নারী নিপীড়ক মেহেদী হাসান হাফিজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আমরা বিস্মিত যে, ক্যাম্পাস যেখানে হওয়ার কথা ছিল নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো পরিবেশ সেখানেই ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে ঘটছে নারী নিপীড়নের ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার এমন দৈন্য দশায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে নারী নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হওয়ায় নারী নিপীড়নের ঘটনা বাড়ছে বলে আমরা মনে করি। এটি স্পষ্ট করে যে, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেমন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে তেমনি নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও চরম ব্যর্থ।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য, নারীদের জন্য একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। তাই উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক পপি আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত ও যারা এসব নিপীড়নকারীদের মদদদাতা তাদেরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রমাণ করুক যে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থী ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপোষহীন। আর নয়তো এটাই প্রমাণিত হবে যে নিপীড়নকারীরা প্রশাসনের চাদরের নিচেই আশ্রয় পায়। ক্ষমতায় বলয়ে নিরাপত্তা লাভ করে।’
এই ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘এই ঘটনায় বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে শূন্য সহনশীল নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”