ইবি প্রতিনিধি:
‘জাতীয় বিপ্লব’ ও ‘সংহতি দিবস’ উপলক্ষে র্যালি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) জিয়া পরিষদ। সোমবার (০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ভবনের সামনে থেকে এ র্যালি বের করে সংগঠনটি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে ইবি থানা গেট সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তি প্রস্তরে গিয়ে মিলিত হয় তারা।
সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা ও দোয়ার আয়োজন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, অধ্যাপক ড. আব্দুল মালেক, অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, অধ্যাপক ড. আবু জাফর খান, অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, সাবেক ইবি শাখা ছাত্রদল সভাপতি এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সহ জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জিয়া পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, “১৯৭৫ সালের এ দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনে শহীদ জিয়াউর রহমান যদি মুক্তি না পেতেন, আধিপত্যবাদীদের চক্রান্তে যদি তিনি নিহত হতেন তাহলে বাঙালীরা স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পেতেন না। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী তৎকালীন সরকার যে বাকশাল কায়েম করেছিল তার ফলে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিলো সেরকম পরিস্থিতির মধ্যেই আমরা অবস্থান করছি। তাই আজকের এ দিনে আমাদের প্রত্যাশা বর্তমান বাকশাল থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে। আবারো বাংলাদেশে সোনালী দিন ফিরে আসবে।”
শেষে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মালেকের পরিচালনায় শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে এ দিনের কার্যক্রম শেষ করে সংগঠনটি।
এর আগে সকাল ৯টায় দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া এলাকায় র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে ইবি শাখা ছাত্রদল। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।