কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭ জন মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার(১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন৷
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খলিল আহাম্মেদ এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ কামরুল ইসলাম (পিএসসি), কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ১৯ টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন,এই বৃত্তি অর্জনের পিছনে রয়েছে তোমাদের কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা,ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং সর্বোপরি সবচেয়ে বড় যেটা কাজ করেছে সেটা হচ্ছে অধ্যাবসায়। এই অসাধারণ স্বীকৃতির জন্য তোমাদের সবাইকে
অভিনন্দন। আজকের এই বৃত্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাদের পড়াশোনার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী করে তোলা। আমি মনে করি, এই স্বীকৃতি তোমাদের আরো অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে৷
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, তারা প্রত্যেকে অসাধারণ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের আমরা এমনভাবে তৈরী করতে চাই
যেন পড়াশোনা শেষে জাতীয়ভাবে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবিক কল্যাণে কাজ করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত আজকের এই সামান্য অর্থ তাদের নতুন প্রেরণার যোগান দিবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও প্রশাসনের স্কলারশিপের এই কালচার শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে উদ্বুদ্ধ করছে। এই সামান্য অর্থ শিক্ষার্থীদের
তেমন কোন উপকারে হয়ত আসবে না। তবে এটি স্বাক্ষর বহন করবে যে তারা মেধাবী।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ছয়টি অনুষদের ১৯টি বিভাগের ২৩৭ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ-২০২২ প্রদান করা হয়েছে। মেধা ও অস্বচ্ছল এই দুই ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের ৮ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়।