কুবি প্রতিনিধি,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আঞ্চলিক সংগঠন ‘চৌদ্দগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র নবীন বরণ, প্রবীণ বিদায় ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজার টাইমস স্কয়ারে সংগঠনটির সভাপতি গাজী রিফাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রেলমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীদের পরিবারে কোন সমস্যা হলে অথবা কেউ পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অক্ষম হয় তাহলে এই সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি সাখাওয়াত শাওনের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জি. এম মীর হোসেন মীরু, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নূরল করিম চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে যারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করছেন এই সংগঠনের পিছনে মুজিবল হক এমপির অনেক অবদান রয়েছে। আপনাদের পড়াশোনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। আমাদের দেশের ইতিহাস জানতে হবে৷ আজকের বাংলা ভাষায় কথার বলার পিছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস। আমরা শুধু নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করলে হবে না! আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে শিক্ষক, ব্যাংকার অথবা ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছেন। এতে কি আপনি সফল? না, আপনার কাজ থেকে যদি মানুষ সাহায্য না পায়, তাহলে আপনি কোন ভাবে সফল না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রধান কাজ হচ্ছে, পড়ালেখা করা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। যারা চাকরি দাতারা বলছে, তারা যোগ্য লোক পাচ্ছে না। আর তোমরা যারা চাকরি খুঁজছ , তারা বলছো তোমরা চাকরি পাচ্ছো না। এই দুইয়ের মাঝে একটা ব্রিজ দরকার। সেই ব্রিজটা হচ্ছে, তুমি নিজেকে তৈরি করো একজন চাকরিদাতা কি খুঁজছে সে দিকে খেয়াল রেখে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শেষে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ এবং প্রবীনদের সম্মাননা স্মারক দিয়ে বিদায় দেওয়া হয়।