হাসিবুল আলম প্লাবন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২২ আয়োজিত।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন ও বিশ্ববিদ্যালয় স্হায়ী ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার এবং সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, শহীদ শেখ রাসেল এর জীবনের শুরুকে আমরা কয়েকটি শব্দ দিয়ে সংজ্ঞায়িত করতে পারি। তারমধ্যে একটি হচ্ছে নির্মলতা। শিশুরা সবসময় নির্মল থাকে। তাই শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক। শিশু রাসেল যে নির্মল সে বিষয়টি তিনি তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রকাশ করে গেছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।শেখ রাসেল ছিলেন দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক। কারণ তিনি খুব সাধারণ একটি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন, সেখানে তাঁর যে সহপাঠীরা ছিলেন তাদের সাথে ছোট্ট শিশুদের যে দুরন্তপনা সেই দুরন্তপনা তিনি করতেন। তাঁর টিফিনের খাবারটাও তিনি অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করতেন।
আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই দিবসটি পালনের স্বার্থকতা তখনি হবে যখন আমরা দেখবো পৃথিবীতে আর কোন শিশুকে এমনি ভাবে নির্মম হত্যার শিকার হতে হয় নি, কোন শিশুকে নির্যাতন করা হয় নি বা শিশু শ্রমকে লাভজনক কাজে ব্যবহার করা হয় নি।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অর্থ ও হিসাব মো.আশরাফ উদ্দিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন আহমেদ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন।