তরুণরা দেশের সম্পদ, এটি সর্বজনস্বীকৃত , তবে বর্তমান সময়ে সকলে যখন চাকুরীর পিছু ছুটেন সেখানে নিজ ক্যাম্পাসেই ভিন্ন কিছু করে দেখিয়েছেন ব্যতিক্রমি কিছু উদ্যোক্তা।
যেখানে, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে ব্যবসার চিন্তা আসা আর সফল হওয়া দুটোই যখন আকাশ কুসুম ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেখানে, অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন মেহরাব আজাদ সানি এবং সাদ রহমান নামের দু’জন শির্ক্ষাথী।
বর্তমান সময়ে ” তরুণ উদ্দোক্তা হিসেবে যখন অর্থায়নই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায় ” তখন সেই চ্যালেঞ্জ কেই মোকাবেলা করে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত লাইব্রেরি ক্যাফে নামক প্রতিষ্ঠান ।
এ নিয়ে তরুণ উদ্দ্যোক্তা মেহরাব আজাদ সানি বলেন, ইউনিভার্সিটি তে ভর্তির পর থেকেই ইচ্ছে ছিল ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রিক কোনো ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়া। এই উদ্দেশ্যে আমরা ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটির আশেপাশে ব্যবসার সুযোগের সন্ধান করতে থাকি।
সন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারি ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে একটি ক্যাফে হবে যেটি পরিচালনা করবে ইউনিভার্সিটির শিক্ষাথীরা।
এ তথ্য জানার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে আমাদের প্রপোজাল লেটার দেই। এবং আমাদের সাথে অনেকেই প্রপোজাল লেটার দেয় এবং এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা এবং কাজে সম্মত হয় এবং আমাদের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়।
তবে, তরুণ উদ্দ্যোক্তা হিসেবে সর্ব প্রথমেই অর্থায়নই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসে কিন্তুু থেমে যাইনি।
নিজের জমাকৃত সর্বশেষ অর্থ দিয়ে ব্যবসায় নেমে যাই।
গল্পের শুরু নিয়ে সাদ রহমান বলেন, কোনো কিছু শুরুর গল্প টা কখনও সহজ হয় না।
এটাও ব্যতিক্রম না। আমার পরিবার ব্যবসায়ী কেন্দ্রিক। সেই সুবাদে ছোট্ট বেলা থেকে ব্যবসায় অনেক লাভ ও ক্ষতি দেখেছি।
তাই অনেক আগে থেকেই নিজে কিছু করার ইচ্ছা ছিলো।
কিন্তু কখনো সাহস পাই নি। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির পর থেকেই নিজের ভিতরে খোটাচ্ছিল কিছু একটা করতে হবে।আর রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রতি ঝোঁক আমার আগে থেকেই সেই জন্যই পড়াশোনাও করছি টু্রিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে।
পরবর্তীতে যখন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে লাইব্রেরি ক্যাফের সংবাদ পাই, নিজেকে এক মুহুর্তের জন্যও আর দমাই নি। নেমে যাই স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে। শুরুর দিকে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে বটে কিন্তু নিরাশ হই নি।
আমাদের দুইজনেরি অনেক সময় এবং ত্যাগের ফলাফল আজকের “লাইব্রেরি ক্যাফে।”