৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ তে লুক্সেমবার্গে প্রতিষ্ঠিত হয় “দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশনস”। সংস্থাটির সদর দপ্তর মোনাকোতে। ৮২ টি রাষ্ট্র বর্তমানে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করেছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যুক্ত হয়নি। সংস্থাটি ১৯৯৫ সাল থেকে “বিশ্ব রক্তদাতা দিবস” আয়োজন করে আসছে। অবশেষে ২০০৫ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি ১৪ জুনকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রতি বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আয়োজন করে থাকে। নওগাঁ শহরে নওগাঁ ব্লাড সার্কেল নামে একটি সামাজিক সংগঠন কয়েক বছর যাবত উক্ত দিনটি উৎযাপন করে আসছে। সাংগঠনিক ভাবে সব রক্তের চাহিদা পূরণ দুঃসাধ্য। বাংলাদেশের প্রথম সারির কোনো সংগঠনই শতভাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিতে সক্ষম নয়। একারণে নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের প্রতিপাদ্য হলো, “রক্ত জোগাড় করে দেওয়া আমাদের মূল কাজ নয়। মূল হলো সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন প্রতি ঘরেই তৈরি হয় রক্তদাতা।” এবারের বিশ্ব রক্তদাতা দিবসকে সফল করতে ১৩ জুন নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন। এতে ১৯২ জন শিক্ষার্থীকে রক্তের গ্রুপ জানানো হয়। সংগৃহীত নতুন রক্তবন্ধুদের নিয়ে ১৪ জুন শাহানাবাগ সিটিতে আয়োজিত হয় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা। ১৩ তারিখের প্রোগ্রামে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাকিব। দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ ব্লাড সার্কেল, নওগাঁ সদর শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ নাহিদ হাসান। উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মোঃ রবিউল সরদার, মোঃ তারিকুল ইসলাম, আলামিন রহমান, শাকিল আহম্মেদ, জোবায়ের হোসেন, হাবিব আহম্মেদ তাজ, ওমর ফারুক, রাদাত আহমেদ আকাশ সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। নওগাঁ ব্লাড সার্কেল, নওগাঁ সদর শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ নাহিদ হাসান জানান, “নতুন রক্তদাতা তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এমন নওগাঁর স্বপ্ন দেখি, যেখানে রোগীর চেয়ে রক্তদাতার সংখ্যা বেশি হবে।