স্নাতক প্রথমবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শেষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিন ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন ১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত দুপুর বারোটায়। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল প্রান্ত আর সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী সাব্বিরের কথাকাটি হয়। সেখানে সভাপতির অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের গায়ে হাত তোলে। ঐ অবস্থায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে পরীক্ষা শেষ হলে পৌনে দুইটার দিকে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জাড়ায়। প্রায় ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
তবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয় অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথাকাটি হয়। পরে এ সংঘর্ষ হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এই ঘটনা ঘটার পর আমরা (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) ক্যাম্পাসে আসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। আশা করি এই ধরনের ঘটনা সামনে ঘটবে না।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হতে আমরা শুনি। দুই পক্ষের আমরা বসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ) জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছি। দুই গ্রুপকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।