গবেষণা খাতে অবদান রাখার জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) তিন শিক্ষককে সেরা গবেষকের সম্মাননা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল এবং একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফাতিন ইশরাক।
সোমবার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এই তিন শিক্ষকের হাতে সেরা গবেষক সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে গত এক বছরে বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল সংখ্যা, ইমফ্যাক্ট ফ্যাক্টর, বাইরের ফান্ডিং এবং সাইটেশনের উপর ভিত্তি করে তিনজন সেরা গবেষককে নির্বাচিত করা হয়েছে। ১০০ নাম্বারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছেন গণিত বিভাগের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ, এরপর ফাতিন ইশরাক, এরপর লিটন চন্দ্র পাল রয়েছেন। এই সম্মাননা পাওয়ার পর অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এই সম্মাননার জন্য আমি আনন্দিত।
আমি বিভিন্ন প্রকার সলিটারি তরঙের সংঘর্ষের সমাধান নিয়ে দেশ ও বিদেশের কয়েকটি প্রজেক্টে গবেষণা করছি। গবেষণায় পাওয়া গেছে অসংখ্য তরঙ্গ একই মাধ্যমে মধ্য দিয়ে গমনে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা পুরোপুরি দূর করে সলিটারি তরঙ্গ সৃষ্টি করে ম্যাগনেটিভ তরঙ্গ হিসেবে ও অপটিক্যাল ফাইভার দিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এমনকি মহাকাশেও সিগনাল পাঠানো সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সম্মাননা নিশ্চয় উৎসাহের। এই সম্মাননা আগামী দিনে গবেষকদের গবেষণা কর্মে উৎসাহ বাড়াবে।’ ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় একই সূত্রে গাঁথা। কেবল যুগোপযোগী গবেষণার মাধ্যমেই শিক্ষাতে নতুন জ্ঞান যুক্ত হয়। সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম।
আমার এই সম্মাননা আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো গবেষণা করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। গবেষণার জন্য আমার এই সম্মাননা গবেষণায় আমার দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’ এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করছি।
শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা যেন গবেষণায় উৎসাহ পায় সেজন্য আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গবেষণা বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছি। গবেষণাগারগুলো আধুনিক করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাত দ্রুতই এগিয়ে যাবে।’