বাকৃবি প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপি শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে একটি শোভাযাত্রা প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেষ হয়।
এর পরে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করার পর কেক কাটা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন কেন্দ্রে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক । অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ছিলেন বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার মন্ডল।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ বাবু ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এহ্তেশামূল আলম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি করে নিয়ে আসতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার কারণে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, তৎকালীন ছাত্র সংসদের ভিপি কৃষিবিদ মো. ইয়াসিন আলী, বাকৃবি শাখার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রহমুল্লাহকে সম্মানসূচক সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মরণোত্তোর সংবর্ধনা পেয়েছেন কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম ভূইয়া।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের মর্যাদা দিয়ে বলেছিলেন আমার মান রাখিস। এই ৫০ বছরে দেশের কৃষিবিদেরা বঙ্গবন্ধুর সেই আশা পূরণ করেছেন। বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে কৃষিবিদ ও কৃষকের অবদানে দেশের কৃষি আজ নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার পর সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্য যোগান সম্ভব হতো না। খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো। আর এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য আমরা উৎপাদন করছি। খাদ্যের কোন সংকট হয় না। বিগত ৫০ বছরে চালের উৎপাদন চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু মোট উৎপাদন নয়, এই ৫০ বছরে উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে সাড়ে চার গুণ।