মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি
‘৫০ পেরিয়ে বাংলাদেশ ২৫ এ বাঁধন, স্বেচ্ছায় রক্তদান হোক সামাজিক আন্দোলন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাঁধনের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাঁধন বাকৃবি জোনাল পরিষদ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বাকৃবি ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের মিনি কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে বাঁধনের রজত জয়ন্তীর উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁধনের সভাপতি এম. এম. আশিক রায়হানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রেজভী আহমেদ জনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, , প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুখ, অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম ও বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক বাঁধনকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীদের সভাপতি তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, বাঁধন অসাম্প্রদায়িক, অরাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন। সব সময় লক্ষ রাখতে হবে যে এই সংগঠনকে কেউ যেন ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে না পারে। অতীতে অনেক গোষ্ঠী ফায়দা লুটতে চেষ্টা করেছে। তাই সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁধন এমন একটি সংগঠন যেখানে বাঁধনকর্মীরা আত্মীয়তার কোন বন্ধন ছাড়াই মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। প্রয়োজনে তারা যেকোনো সময় রক্ত দিয়ে তৈরি করে এক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এইসব সামাজিক কাজের মাধ্যমে ইতিবাচক দিক ছড়িয়ে দিয়ে থাকে তারা। ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে আসা করা যায় এক নতুন বাংলাদেশের। আজ থেকে ২৫ বছর আগে রক্ত না পেয়ে মারা যেতে হয়েছিলো অনেক রোগীকে। এখন ২৫ বছর পর এই সংগঠনটির প্রচেষ্ঠায় রক্তের জন্য মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমেছে। এছাড়া তিনি আরো বলেন রক্তদানের একটি ওয়েবসাইট চালু করতে হবে । ফলে লোকেশন অনুযায়ী যে কেউ যেকারো প্রয়োজনে রক্ত নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, বাঁধন বাকৃবি জোনাল পরিষদ বর্তমানে ১৩টি হল ইউনিটের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ৫২২৯৮ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং ৩১৯২৮ ব্যাগ রক্তদান করেছে বাঁধন বাকৃবি জোনাল পরিষদ।