বাকৃবি প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডিবেটিং সংঘের আয়োজনে ‘৩য় কৃষি বিতর্ক উৎসব ২০২৩’ প্রতিযোগিতার সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ওই প্রতিযোগিতার সমাপনি পর্ব ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ‘কৃষি ও প্রযুক্তির সম্মিলনে উন্মোচিত হোক সম্ভাবনার দুয়ার’ এই শিরোনামে আয়োজিত হয় এবারের বিতর্ক উৎসব।
প্রতিযোগিতায় ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে। যাদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ডিবেটিং সংঘ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস্ (বিইউপি) এর ডিবেটিং ক্লাব ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বাকৃবি থেকে বিজয়৭১ ও মরণসাগর নামের দু’টি দল অংশগ্রহণ করে।
‘কৃষি জমিকে বিকল্প কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা আরোপ করবে’ বিষয়ের উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে সরকারী দল হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন শাবিপ্রবির ডিবেটিং সংঘের তারেকুল আরেফিন প্রিয়ম, সুমিত কর্মকার ও মেহরাব সাদাত। বিরোধী দল হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন বিইউপি ডিবেটিং ক্লাবের ফারহান ইশরাক, জিল জাওসান ও আলভী তনয়। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সংঘের নাজমুল হাসান জুন্নুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অগার্নাইজেশনের নূর আলম এবং বাকৃবির ডিবেটিং সংঘের। ডিবেটার অফ দি ফাইনাল ও ডিবেটার অফ দি টুর্নামেন্ট পুরস্কার পেয়েছেন মেহরাব সাদাত। বিইউপি তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের সেরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও ডিবেটিং সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান দোলনের স ালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাইখ সিরাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. ছাইফুল ইসলাম। প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডিবেটিং সংঘের সহ-সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. এম নাহিদ সাত্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
এসময় শাইখ সিরাজ বলেন, কৃষির বিপ্লবের শুরু বাকৃবি থেকেই। গত কয়েকবছরে কৃষির যে উৎকর্ষতা বেড়েছে সেথানে বাকৃবির অবদান অসামান্য। কালের ধারাতেই টেকনোলজি বেজড কৃষি আসবে। হরাইজন্টাল থেকে ভার্টিক্যালের দিকেই যাবে কৃষি। কৃষি জমি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো জমি বিক্রি করে এককালীন অনেক টাকা পাচ্ছেন কৃষক। তবে শিল্পপতিদের জন্য সরকারকেও কিছু নিয়ম করে দিতে হবে। শিল্প ব্যবসায়ে কৃষককেও শেয়ার দিতে হবে। এছাড়াও যে বজর্যগুলো উৎপন্ন হবে সেগুলো পরিশোধনের ব্যাবস্থাও থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, কৃষি আমাদের বড় একটি ইনভেস্টমেন্ট যা দিয়েই দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। তরুণদের মধ্যে অনেকেই এখন কৃষির দিকে ঝুঁকছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের কৃষির উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। ফসল, লাইভস্টক, ফিশারিজ, মেকানাইজেশন থেকে শুরু করে কৃষি বিষয়ক সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব হবে যার সবচেয়ে ভালো একটি সম্মেলন হচ্ছে বাকৃবি।