মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি
দীর্ঘ সাত বছর পর ৮ম সমাবর্তনের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। আগামী ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২য় বা ৩য় সপ্তাহে অষ্টম সমাবর্তনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ৭ম সমাবর্তন হয়েছিলো ২০১৬ সালে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সমাবর্তনের এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ে ২০১৪ সালের জানুয়ারি-জুন সেমিস্টার থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি-জুন সেমিস্টার পর্যন্ত যারা গ্রাজুয়েট হয়েছেন সকলে অংশ নিতে পারবে। এছাড়াও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০১৪ সালের জানুয়ারি-জুন সেমিস্টার থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সেমিস্টার পর্যন্ত যারা ডিগ্রি লাভ করেছেন সকলে অংশ নিতে পারবে। এদিকে পি.এইচ.ডি. পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থী ২০১৬ সাল হতে এখন পর্যন্ত মূল সার্টিফিকেট গ্রহণ করেননি তারা সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের আগামী ০১ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ স্নাতক পর্যায়ে ১৫শ’ টাকা, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২ হাজার টাকা এবং পিএইচডি পর্যায়ে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা https://bau.edu.bd/convocation -এই লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে অষ্টম সমাবর্তনের অপেক্ষায় ছিলো উপমহাদেশের কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাকৃবি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সপ্তম সমাবর্তনের পর একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও অষ্টম সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব হয় নি। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ সমাবর্তনের অপেক্ষায় থাকা ছয় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। অবশেষে অষ্টম সমাবর্তন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ ৬ বছর সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে বাকৃবি। এতে উচ্ছ্বসিত বাকৃবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বাকৃবির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সভাপতি তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, এর আগে কোনো সমার্বতনেই একসাথে ৭টি সেশনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবারেই প্রথম একসাথে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে বাকৃবি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ করার জন্য।