বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের কস্টিউম, উপহার ও আমন্ত্রণপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এছাড়া সমাবর্তন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাঘাট মেরামত, উপহার বুথ স্থাপন, স্টেডিয়ামে প্যান্ডেল বানানোসহ বাহারি রঙে সজ্জিত হয়েছে বাকৃবি ক্যাম্পাস।
উপহার বিতরণ কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে। শুক্রবার ও শনিবার (১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে সমাবর্তনের এ বিতরণ কার্যক্রম ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের গাউন ও হুড ব্যতিত অন্যান্য উপহার ফেরত দিতে হবে না। গাউন ও হুড ফেরত দিয়ে তবেই মূল সনদ গ্রহণ করতে পারবেন। সমাবর্তন ব্যাগে গাউন, ক্যাপ, হুডি, খাবারের কুপন, স্মরণিকা এবং সমাবর্তনের আয়োজনে উপস্থিতির জন্য আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে।
তবে সমাবর্তনের আয়োজন নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষর্থীদের মাঝে। সাদামাটা এই আয়োজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও চলছে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সমাবর্তন উপলক্ষ্যে যে উপহার ব্যাগ দেওয়া হয়েছে তা খুবই নিম্মমানের। এবং উপহার সামগ্রীতে স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য কিছুই দেওয়া হয়নি। অন্তত ক্যাপগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ব্যবহার করা যেতেই পারতো। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব ছিল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো এখনো পরিষ্কার করা হয়নি। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সফলতা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গ্র্যাজুয়েট মো. শাহীন সরদার বলেন, ‘প্রথম দিন গিয়ে সমাবর্তনের একটা ব্যাগে গাউন, হুডি আর ক্যাপ পেয়েছি। ২য় দিন দুপুরে গিয়ে আইডি কার্ড, স্মরণিকা এবং খাবারের কুপন পেয়েছি। আয়োজনে কিছুটা অব্যবস্থাপনার জন্যই এমনটা হয়েছে। তবে সারপ্রাইজ উপহার হিসেবে সমাবর্তন লিখা কলম, মগ, চাবির রিং ইত্যাদি পাওয়ার প্রত্যাশা ছিলো গ্র্যাজুয়েটদের।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, বাজেট সংকটের জন্য এবারের আয়োজনে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এবছর তেমন কোনো স্পনসর সংগ্রহ করা যায়নি বলেই আমরা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত কিছু দিতে পারছি না। অন্যান্য সমাবর্তনে অনেক দাতা সংস্থা থাকলেও এবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তেমন কোনো সাড়া আমরা পাইনি। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি সমাবর্তনের খাবার ও প্যান্ডেল আয়োজনেই খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরোও জানা যায়, সমাবর্তনের মূল আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং আইডি কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে। সমাবর্তনের দিন (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং পরের দিন (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট বুথে গাউন ফেরত নেওয়া হবে এবং মূল সনদ বিতরণ করা হবে।