মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে গাউন পড়ে নিজ নিজ অনুষদে ছবি তোলার হিড়িক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর পরিণত হয়েছে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়।
চারিদিকে উৎসবের আমেজ। একে একে সবাই কালো টুপি আর কালো গাউন পরে ক্যাম্পাস ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। গ্রাজুয়েটদের মিলন মেলায় পরিণত হয় প্রিয় ক্যাম্পাসে। দীর্ঘদিন পর আবারও ফেলে আসা পুরাতন স্মৃতিগুলো সজিব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মনে। দেখা দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিক্রম করা সেই বন্ধুদের সঙ্গে। এসব ভেবেই সবার চোখে মুখে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। কিন্তু সেই হাসি মুখ ক্ষণিকেই মলিন হয়ে যাবে, যে তাদের এই অষ্টম সমাবর্তন। এই সমাবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো সেই সোনালি দিনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
রবিবার বাকৃবির ৮ম সমাবর্তন। সমাবর্তন নিয়ে চারদিক যেনো উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসের হতাশার মোড় থেকে শুরু করে বাকৃবির স্টেডিয়াম পর্যন্ত সাজানো হয়েছে রং-বেরঙের ঝাড় বাতি দিয়ে। একাডেমিক ভবন, করিডোর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, টিএসসি, আবাসিক হলগুলোতে সাজানো হয়েছে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায়। দেবদারু গাছে ঝারবাতি আলোর ছোয়া যেন অন্যরকম মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বর্ণিল সাজে সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে দেখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে সমাবর্তনকে ঘিরে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বাহারী ফুলের সমাহার। ফুলের সুগন্ধে ভরে উঠেছে পূরো ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে চ লতা ফিরে এসেছে। উৎসবে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একটি আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। এর মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ হাতে পান শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস ছেড়ে চাকরি জীবনে চলে যাওয়ার পরও অনেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে এবার। ক্যাম্পাস ছেড়ে চাকরি জীবনে চলে যাওয়ার পরও সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে অনেক গ্র্যাজুয়েট। অনেকে বন্ধুদের নিয়ে নিজ হলের সেই পুরাতন রুমে আবার স্মৃতিচারণ করতে চলে এসেছে।